রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ন

স্বপদে বহাল থাকছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক

স্বপদে বহাল থাকছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক

স্বদেশ ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে তিনটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ‘শাস্তি’ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের নোটিশ বোর্ডে ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি অফিস আদেশ টাঙিয়ে দেয়া হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন এতে স্বাক্ষর করেছেন ২১ নভেম্বর।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের এই প্রভাষকের স্থায়ী অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় আন্দোলন করে এলেও তাতে সাড়া দেয়নি সিন্ডিকেট।

অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ যাবতীয় অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে ফারহানা ইয়াসমিনকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সময় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ ওঠে বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওই কমিটি তদন্ত শেষে অভিযোগের ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথা জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। শিক্ষার্থীরাও তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে।

এর মধ্যে ২৪ অক্টোবর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন সবার সামনে ‘বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাও’ করেন।

তার দুই দিন পর শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী অপসারণের ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আশ্বাসে’ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে তদন্ত করতে ২৭ অক্টোবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।

ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক জামিলুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক আবু ইউসুফ হীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও এ দলের প্রধান ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দীল আফরোজা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া চার সদস্য, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সাথে কথা বলেন।

এর এক মাস পর রোববার ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নোটিশ বোর্ডে টানানো হলো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877